Tuesday, February 20, 2018

জাতীয় কবি ও বিশ্বকবির কিছু বিখ্যাত উক্তি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ও বিশ্বকবি রবী ঠাকুরের কিছু বিখ্যাত উক্তি

কাজী নজরুল ইসলাম 

1.বিদ্রোহী মানে কাউকে না মানা নয়। যা বুঝিনা তা মাথা উঁচু করে বুঝি না বলা।

2.আমি চির বিদ্রোহী বীর বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির উন্নত শির।

3.যাকে সত্যিকার ভালোবাসা যায়, সে অতি অপমান-আঘাত করলেও এবং হাজার ব্যথা দিলেও তাকে ভোলা যায় না॥

4.ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসা না পেলে তার জীবন দুঃখের ও জরতার ।

5.সত্য যদি লক্ষ্য হয়, সুন্দর ও মঙ্গলের সৃষ্টি সাধনা ব্রত হয়, তবে তাহার লেখা সম্মান লাভ করিবেই করিবে

6.নামাজ পড়, রোজা রাখ, কলমা পড় ভাই, তোর আখেরের কাজ করে নে সময় যে আর নাই।

7.ভালবাসার কোন অর্থ বা পরিমাণ নেই।

8.নুড়ি হাজার বছর ঝরণায় ডুবে থেকেও রস পায় না।

9.তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিব না, কোলাহল করি সারা দিনমান কারো ধ্যান ভাঙিব না।

10.রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা

11.তরবারি গ্রহণ করতে হয় উচ্চশিরে উদ্ধত হস্ত তুলে, মালা গ্রহণ করতে হয় উচ্চশির অবনমিত করে, উদ্ধত হস্ত যুক্ত করে ললাট ঠেকিয়ে।

12.বাহিরের স্বাধীনতা গিয়াছে বলিয়া অন্তরের স্বাধীনতাকেও আমরা যেন বিসর্জন না দিই।

13.এই অসুন্দরের শ্রদ্ধা নিবেদনের শ্রাদ্ধ দিনে বন্ধু, তুমি যেন যেওনা

14.সত্য যদি হয় ধ্রুব তোর কর্মে যদি না রয় ছল, ধর্ম দুগ্ধে না রয় জল, সত্যের জয় হবেই হবে আজ নয় কাল মিলবেই ফল।

15.মৃত্যুর যন্ত্রণার চেয়ে বিরহের যন্ত্রণা যে কতো কঠিন, কতো ভয়ানক তা একমাত্র ভুক্তভুগিই অনুভব করতে পারে.

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

1.সময়ের সমুদ্রেআছি,কিন্তু এক মুহূর্ত সময় নেই।

2.অক্ষমের লোভ আলাদীনের প্রদীপের গুজব শুনলেই লাফিয়ে উঠে।

3.নিজের অজ্ঞতা সম্বন্ধে অজ্ঞানতার মতো অজ্ঞান আর তো কিছু নেই।

4.যে সমাজে কিছুই ভাব বার নেই, কিছুই করবার নেই, সমস্তই ধরাবাধা, সে সমাজ কি বুদ্ধিমান, শক্তিমান মানুষের বাস যোগ্য? সে সমাজ মৌমাছির চাক বাধার যায়গা

5.অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তবে ঘৃণা তারে যেস তৃণসম দহে।

6.মুসলমান একটি বিশেষ ধর্ম, কিন্তু হিন্দু কোন বিশেষ ধর্ম নহে। হিন্দু ভারতবর্ষের ইতিহাসের একটি জাতিগত পরিণাম।

7.যে তোমার সুখে আনন্দিত হয়, যে তোমার কস্টে দুখ পাই, যে তোমার নিরবতার কারণ খোজে, সেই তোমার প্রকৃত বন্ধু

8.পৃথিবিতে সব চেয়ে অসহায় সে, যে নিজের রাগ,অভিমান, কষ্ট কাউকে দেখাতে পারেনা একটু চিৎকার করে কাঁদতে পারেনা শুধু চোখের জল লুকিয়ে হাসে

9.প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন।

10.অক্ষমের লোভ আলাদীনের প্রদীপের গুজব শুনলেই লাফিয়ে উঠে।

11.ভালোবাসা হলো একমাত্র বাস্তবতা, এটি শুধুমাত্র আবেগ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত নয়। এটি হলো একটি চিরন্তন সত্য যা যেই হৃদয়ে সৃষ্টি হয়, সেই হৃদয়ে থাকে।

12.গোলাপ যেমন একটি বিশেষ জাতের ফুল, বন্ধু তেমনি একটি বিশেষ জাতের মানুষ।

13.বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয়

14.যে খ্যাতির সম্বল অল্প তার সমারোহ যতই বেশি হয়, ততই তার দেউলে হওয়া দ্রুত ঘটে।

15.যে মরিতে জানে সুখের অধিকার তাহারই। যে জয় করতে জানে ভোগ করা তাহাকেই সাজে।

16. যে লোক পরের দুঃখকে কিছুই মনে করে না তাহার সুখের জন্য ভগবান ঘরের মধ্যে এত স্নেহের আয়োজন কেন রাখিবেন।

17.সংসারে সাধু-অসাধুর মধ্যে প্রভেদ এই যে, সাধুরা কপট আর অসাধুরা অকপট।

18.নারী দাসী বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে নারী রাণীও বটে।

19.মনে যখন একটা প্রবল আনন্দ একটা বৃহৎ প্রেমের সঞ্চার হয় তখন মানুষ মনে করে, ‘আমি সব পারি’। তখন হঠাৎ আত্মবিসর্জনের ইচ্ছা বলবতী হইয়া ওঠে।

20.যে ছেলে চাত্তয়া মাত্রই পায়, চাবার পূর্বেই যার অভাব মোচন হতে থাকে; সে নিতান্ত দুর্ভাগা। ইচ্ছা দমন করতে না শিখে কেউ কোনকালে সুখী হতে পারেনা।

21.সামনে একটা পাথর পড়লে যে লোক ঘুরে না গিয়ে সেটা ডিঙ্গিয়ে পথ সংক্ষেপ করতে চায় - বিলম্ব তারই অদৃষ্টে আছে।

22.বিয়ে করলে মানুষকে মেনে নিতে হয়, তখন আর গড়ে নেবার ফাঁক পাওয়া যায় না।

23.লোকে ভুলে যায় দাম্পত্যটা একটা আর্ট, প্রতিদিন ওকে নতুন করে সৃষ্টি করা চাই।

24.সোহাগের সঙ্গে রাগ না মিশিলে ভালবাসার স্বাদ থাকেনা - তরকারীতে লঙ্কামরিচের মত।

25.যারে তুমি নিচে ফেল সে তোমাকে বাঁধিবে যে নিচে। পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।

26.‘কত বড়ো আমি’ কহে নকল হীরাটি। তাই তো সন্দেহ করি নহ ঠিক খাঁটি।

27.পৃথিবীর মুখ আমি দেখিয়াছি, এবার দেখিব বাংলার মুখ।

28.যার সঙ্গে মানুষের লোভের সম্বন্ধ তার কাছ থেকে মানুষের প্রয়োজন উদ্ধার করে; কিন্তু কখনো তাকে সম্মান করে না।

29.যদি তোমারে নাহি পরে মনে ভেবে নিও সে তো আসিবে না ফিরে।

30.অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়

31.অবাধ্য বউ যার, জীবন তার দূর্বিসহ

32.মেয়েরা অল্প কারণে কাদতে জানে এবং বিনা কারণে হাসে। কারণ ব্যতীত কার্য হয় না, জগতের এই কড়া নিয়মটা কেবল পুরুষের পক্ষেই খাটে।

33.চন্দ্রের যা কলঙ্ক সেটা কেবল মুখের উপরে, তার জ্যোৎস্নায় কোনো দাগ পড়ে না।

Related Posts

0 comments: