Tuesday, February 20, 2018

এ পি জে আব্দুল কালাম ও ফিদেল কাস্ত্রোর কিছু বিখ্যাত উক্তি

এ পি জে আব্দুল কালাম  ও ফিদেল কাস্ত্রোর কিছু বিখ্যাত উক্তি

এ পি জে আব্দুল কালাম 

---যদি আমরা স্বাধীন হতে না পারি কেউ আমাদের শ্রদ্ধা করবে না।

---স্বপ্ন সত্যি করার আগে স্বপ্ন দেখতেহবে।
---ওটা স্বপ্ন নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে দেখ, স্বপ্ন তা-ই যা তোমাকে ঘুমোতে দেয় না।

---সফলতার গল্পে কেবল একটি বার্তা থাকে। কিন্তু ব্যর্থতার গল্পে সফল হওয়ার উপায় থাকে।

---তিনজনই পারেন একটি দেশ বা জাতিকে বদলাতে। তাঁরা হলেন, বাবা, মা ও শিক্ষক।

---নেতা সমস্যায় ভয় পাবেন না। বরং সমস্যার মোকাবিলা করতে জানবেন। তাঁকে কাজ করতে হবে সততার সঙ্গে।

---স্বপ্ন, স্বপ্ন, স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখে যেতে হবে। স্বপ্ন না দেখলে কাজ করা যায় না।

---স্বপ্নবাজরাই সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারেন।

---বৃষ্টির সময় প্রত্যেকটি পাখিই কোথাও না কোথাও আশ্রয় পায়। কিন্তু ঈগল মেঘের উপর দিয়ে উড়ে বৃষ্টিকে এড়িয়ে যায়।

---আমি সুদর্শন নই। কিন্তু আমি আমার হাত তার জন্য বাড়িয়ে দিতে পারি যার সাহায্য প্রয়োজন। সৌন্দর্য হৃদয়ে, মুখে নয়।

---কাউকে হারিয়ে দেয়াটা খুব সহজ, কিন্তু কঠিন হলো কারো মন জয়।

---শুধুমাত্র সাফল্যর গল্প পড়বেন না, এখানে শুধু একটা বার্তাই পাবেন। ব্যথতার গল্প গুলো পড়েন তাহলে সফল হওয়ার অনেক গুলো আইডিয়া ও পেয়ে জাবেন।

---আপনি আপনার ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করে দিতে পারবেন না, কিন্তু আপনি আপনার অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে পারবেন। আর এটাই আপনার ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করে দিবে

---একটা ভালো বই ১০০ জন বন্ধুর সমান, কিন্তু একজন ভালো বন্ধু একটা লাইব্রেরীর সমান।

---আত্মবিশ্বাস ও কঠোর পরিশ্রম ব্যথতা নামক রোগকে মারার সবচেয়ে বড় ওষুধ। এটাই আপনাকে একজন সফলকাম মানুষে পরিণত করবে।

---নিজেকে একা মনে হলে আকাশের দিকে তাকাও। আমরা একা নই। পৃথিবীটা আমাদের বন্ধু। যারা কাজ করে ও স্বপ্ন দেখে প্রকৃতি তাঁদের সাহায্য করে।

---যদি সূর্য হতে চাও তবে সূর্যের মতো নিজেকে পোড়াও।

---মানুষের জীবনে প্রতিবন্ধকতা থাকা দরকার। বাধা না থাকলে সফলতা উপভোগ করা যায় না।

---জীবন এক কঠিন খেলা। সত্যিকারের মানুষ হয়ে উঠতে পারলেই এ খেলায় জেতা যায়।

---যারা পরিশ্রম করেন সৃষ্টিকর্তা তাঁদের সাহায্য করেন।

---মন থেকে যারা কাজ করে না তাঁদের জীবন ফাঁপা। সাফল্যের স্বাদ তাঁরা পায় না।

---সেই ভালো শিক্ষার্থী যে প্রশ্ন করে। প্রশ্ন না করলে কেউ শিখতে পারে না। শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করার সুযোগ দিতে হবে।

---বিজ্ঞান মানুষের জন্য উপহার। ধ্বংসের জন্য বিজ্ঞান নয়।

---আমি সুপুরুষ নই। কিন্তু যখন কেউ বিপদে পড়েন আমি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। সৌন্দর্য থাকে মানুষের মনে। চেহারায় নয়।

---উদার ব্যক্তিরা ধর্মকে ব্যবহার করে বন্ধুত্বের হাত বাড়ান। কিন্তু সংকীর্ণমনস্করা ধর্মকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে।

ফিদেল কাস্ত্রো

---বিপ্লব কোনো ফুলশয্যা নয়। বিপ্লব হচ্ছে ভবিষ্যৎ ও অতীতের মধ্যকার একটি সংগ্রাম।— ১৯৫৯ সালে কাস্ত্রো।

---আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি৷ ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় তিনিই হিমালয়। এভাবেই আমার হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে


---আমি দাড়ি কামানোর কথা ভাবছি না। কারণ, আমি দাড়িতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি এবং আমার দেশের কাছে আমার দাড়ির অর্থ অনেক কিছু। সুশাসনে বিষয়ে আমরা যখন আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারবো তখনই আমি আমার দাড়ি কামাবো।— ১৯৫৯ সালে কিউবা বিপ্লবের ৩০ দিন পর সিবিএস নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাস্ত্রো।


---আমি সত্যিই খুশি যে আমি ৮০ বছরে পৌঁছেছি। আমি কখনোই এটা আশা করিনি, অন্তত বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র যেখানে আমার প্রতিবেশী, যারা প্রতিদিনই আমাকে হত্যার চেষ্টা করছে।—২০০৬ সালের ২১ জুলাই আর্জেন্টিনায় লাতিন আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের এক সম্মেলনে কাস্ত্রো।

---বিপ্লবের সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হচ্ছে এখন এমনকি আমাদের পতিতারাও কলেজ উত্তীর্ণ।—২০০৩ সালে 'কমানডান্টে' প্রামাণ্যচিত্রের পরিচালক অলিভার স্টোনকে কাস্ত্রো।

---আমি অনেক আগেই সিদ্ধা্ন্তে উপনীত হয়েছি যে কিউবার জন্য আমাকে সর্বশেষ আরেকটি ত্যাগ স্বীকার করতে হবে, আর তা হচ্ছে ধূমপান বন্ধ করা। সত্যি বলতে এর অভাব আমি খুব একটা টের পাচ্ছি না। ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরে ধূমপান ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার সময় ফিদেল কাস্ত্রো।

---সমাজতন্ত্রবাদীরা যদি বিলীন হয়ে যেত তবে কী হতো তা শুধু কল্পনা করুন...এটা কখনো সম্ভব হতো তা আমি বিশ্বাস করি না।— ১৯৮৯ সালে কাস্ত্রো।

---আমরা সঙ্কটে থাকা উন্নত পুঁজিবাদী কোনো দেশ নই, যেসব দেশের নেতারা অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি, বাজারের অভাব ও বেকারত্বের সমাধান খুঁজতে খুঁজতে পাগল হয়ে যাচ্ছেন; আমরা সমাজতান্ত্রিক এবং আমাদের সমাজতান্ত্রিকই থাকতে হবে।—২০০৮ সালে সংবাদপত্রে লেখা নিজের কলামে কাস্ত্রো।

---আমি উপলব্ধি করেছিলাম যে আমার নিয়তিই হবে যুদ্ধ করা, যে যুদ্ধ আমি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করতে যাচ্ছিলাম।—ফিদেল কাস্ত্রোকে নিয়ে অলিভার স্টোনের দ্বিতীয় প্রামাণ্যচিত্র 'লুকিং ফর ফিদেল'-এ কাস্ত্রোর প্রথম উক্তি।

---আমাকে অপরাধী বানাতে পারো, এটা কোনো গুরুত্ব বহন করে না। ইতিহাস আমাকে মুক্তি দেবে.

---তথ্যে বিদ্ধ হতে হবে এবং মেনে নিতে হবে, সমাজতান্ত্রিক শিবিরের পতন হয়েছে।

---তারা সমাজতন্ত্রের ব্যর্থতার কথা বলে, কিন্তু এশিয়া, আফ্রিকা আর দক্ষিণ আমেরিকায় পুঁজিবাদের সাফল্য কী?

---হত্যার চেষ্টা এড়িয়ে যাওয়ার যদি কোনো অলিম্পিক ইভেন্ট থাকত, তাহলে নির্ঘাত তাতে স্বর্ণপদক জিততাম আমি।

---দ্রুতই আমি অন্যদের মতো বিদায় নেব। এটা আমাদের সবার জীবনেই আসবে, কিন্তু কিউবার কমিউনিস্টদের ধারণা এ গ্রহে প্রমাণ হিসেবে টিকে থাকবে, যদি তারা ঐকান্তিকতা ও মর্যাদার সঙ্গে কাজ করে।

---আমার নিন্দা করুন। এর কোনো গুরুত্ব নেই। ইতিহাসই আমাকে দায়মুক্তি দেবে।— সান্তিয়াগো ডি কিউবার মনকাডা মিলিটারি ব্যারাকে হামলার অভিযোগে বিচারের সময় ১৯৫৩ সালে তরুণ আইনজীবী ফিদেল কাস্ত্রো।

---আমি বিপ্লব শুরু করেছিলাম ৮২ জন সহযোদ্ধাকে নিয়ে। আমাকে যদি আবারও এটা করতে হতো তবে আমি এমনকি ১০ বা ১৫ জনকে নিয়েও পরিপূর্ণ বিশ্বাসের সঙ্গে আবারও তা করতাম। আপনার যদি সঠিক কর্মপরিকল্পনা ও বিশ্বাস থাকে তবে আপনি কতো ছোট সেটা কোনো ব্যাপার না।— কাস্ত্রো ১৯৫৯ সালে।

Related Posts

0 comments: